December 22, 2024, 1:59 pm
বকুল চৌধূরী/
শত বছরের হাজারো মানুষের লুকানো (কুমারখালী-লালন বাজার) শহীদ গোলাম কিবরিয়া স্বপ্ন গড়াই সেতু দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সেতু নির্মান কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের ২৪ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রমে তৈরি হচ্ছে স্বপ্নের সেতু। কুমারখালী বাসীর বহুল প্রত্যাশিত গড়াই সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে হাজারো মানুষের দীর্ঘ দিনের কষ্ট-দুর্ভোগ লাঘব হবে। পাশাপাশি এ উপজেলার সঙ্গে ঝিনাইদহ ও মাগুরা সহ আশেপাশের জেলার যোগাযোগ সহজ হবে এবং দুরত্ব কমে আসবে।গড়াই নদীর ওপর নির্মিত কুমারখালী সংযোগ সেতুটি শত বছরের সেতুটি ঘিরে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন যথাক্রমে-যদুবয়রা, চাপড়া, চাদপুর, বাগুলাট ও পান্টি ছাড়াও ঝিনাইদহ জেলার শৌলকুপা উপজেলা জনসাধারণ কুমারখালী সদরে সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ কমে আসবে। বেশির ভাগ মানুষ জীবিকার তগিতে প্রতিদিন কুষ্টিয়া-কুমারখালী শহরে যাতায়াত করে । বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে ধু ধু বালিতে হেটে গড়াই নদী পাড় হাওয়ার কষ্ট-বিড়ম্বনা দীর্ঘ দীনের। কয়েক যুগ ধরে এলাকার মানুষ গড়াই নদীর উপর সেতু নির্মানের আন্দোলন করে আসছিল। গড়াই নদীর উপর নির্মিত কুমারখালী-যদুবয়রা সংযোগ শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুর নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ন করছে সংস্থা ও স্থানীও সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কুষ্টিয়া। ৮৯ কোটি ৯১ লক্ষ্য ৩৫ হাজার ৫৯১ টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য পিসি গার্ডার সেতুটি ওর্য়াকওয়ে সহ ৯দশমিক ৮০মিটার চওড়া করা হবে। এ ছাড়াও সেতুটির দুই পাড়ে মোট ৮০০মিটার দৈর্ঘ্য এপ্রোচ সড়ক নির্মান করা হবে। নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও রানা বিল্ডার্রস যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে।যত দুর জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ শে অক্টোবর সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্তির কথা রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও রানা বিল্ডার্রস যৌথভাবে সেতুটির নির্মণের কার্যদেশ পেয়েছে। ইতিমধ্যে পাইলিংয়ের সেতুটির আনমানিক শতকরা ৫৫ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী বলেন, কুমারখালীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেতুটি অবশেষে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে । প্রধান অতিথি হিসেবে কুষ্টিয়া-৩, আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুব উল আলম হানিফ গত ১৭ই এপ্রিল ২০১৯ সালে সেতুটি কাজের উদ্বোবন করেন।বর্তমানে সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই পর্যন্ত সেতুর ৫৫ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিদিন ৯০জন শ্রমিক রাত-দিন কাজ করছে। এই কাজ বর্ষা মৌসুমেও চলবে। নির্ধারিত সময়ের বাইরে ৫/৬ মাস সময় বেশি লাগতে পাড়ে সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে। শত বছরের স্বপ্ন কুমারখালী শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু আজ দৃশ্যমান ।কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ সেতুটি পরিদর্শন সহ সেতুটি নির্মাণের সংবাদ নেয় কুমারখালী বাসির দীর্ঘ দিনের চাওয়া এই কুমারখালী-যদুবয়রা সংযোগ শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুটি । সব সমই কুষ্টিয়া-৪ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ সেতুটি প্রতিনিয়ত দেখাশোনা করছেন এবং সেতু নির্মাণে অগ্রগতি সম্মন্ধে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছে ।
Leave a Reply